সেমি কন্ডাক্টর ডায়োড (Semiconductor Diode)
P-N টাইপ ইলেকট্রোডের সমন্বয়ে গঠিত ডিভাইসকে ডায়োড বলে । P-N জংশনের মধ্যে দিয়ে এক দিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয় কিন্তু বিপরীত দিকে কারেন্ট প্রবাহিত হয় না। P-N জংশনের এ ধরনের ক্ষমতার জন্যই এটাকে সেমিকন্ডাক্টর বলে। এটাকে ক্রিষ্টাল ডায়োডও বলা যায়। এটার P অঞ্চলকে এ্যানোড এবং N অঞ্চলকে ক্যাথোড বলে।
সেমি-কন্ডাক্টর ডায়োডের কার্যপ্রণালী -
সেমি-কন্ডাক্টর ডায়োডের কার্যপ্রণালী দুইভাবে বর্ণনা করা যার ফরওয়ার্ড বায়াস এবং রিভার্স বায়াস এর মাধ্যমে।
ফরওয়ার্ড বায়াস (Forward Blas )
সেমিকন্ডাক্টর ডায়োডে P-N জংশনে ফরওয়ার্ড বায়াস প্রয়োগ করা হলে অর্থাৎ ব্যাটারীর পজেটিভ প্রাপ্ত সেমিকন্ডাক্টরের P প্রান্তে এবং ব্যাটারীর নেগেটিভ প্রাপ্ত সেমিকন্ডাক্টরের N প্রান্তে সংযোগ করা হলে তাকে ফরওয়ার্ড বায়াস বলে ।
রিভার্স বায়াস (Reverse Bias)
যখন ব্যাটারীর পজেটিভ প্রান্ত সেমিকন্ডাক্টরের N প্রান্তে এবং ব্যাটারীর নেগেটিভ প্রায় সেমিকন্ডাক্টরের P প্রান্তে সংযোগ দেয়া হয় এ ধরণের সংযাগেকে রিভার্স বায়াস বলে।
ইলেকট্রনিক্স কাজে বিভিন্ন ধরণের ডায়োড ব্যবহৃত হয়। বহুল ব্যবহৃত ডায়োড-
ডায়োড পরীক্ষা (Dlode Test)
ডায়োডের যে দিকে ব্যান্ড চিহ্ন থাকে, সে দিককে ক্যাথোড (Cathod) বলে। অপর দিককে এ্যানোড (Anode) বলে। আর যদি কোন চিহ্ন না থাকে, তাহলে মিটারের সাহায্যে টেস্ট করা যায়। মিটারের সিলেক্টর নবটি কম রেঞ্জে সেট করতে হবে। মিটারের নবটি ওহমস-এ সেট করলে মিটারের পজেটিভ প্রোৰটি নেপেটিক প্রোব হয়। আর (Com) কমন প্রোবটি পজেটিভ প্রোবে-এ পরিণত হয়। চিত্র-১.৩৮ অনুযায়ী সেট করলে যদি কাটা ফরওয়ার্ড ডিফ্লেকশন দেখার, তাহলে ডায়োড ভাল আছে। আর যদি ডিফ্লেকশন উভয় দিকে দেখায় তাহলে ভাল নয়।
বিঃ দ্রঃ এখানে উল্লেখ্য যে, ডিজিটাল মিটার-এ এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না ।
আরও দেখুন...